রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ব্রিটেনের রানি হিসেবে জানলেও তিনি এমন সব ক্ষমতা ভোগ করেছিলেন, যা অবিশ্বাস্য। আর্থ কুইন নামে খ্যাত এলিজাবেথের অনুমোদন না পেলে, যুক্তরাজ্যে পাস হতো না কোনও আইন। তিনি চাইলে ভেঙে দিতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ । দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে রাজত্ব করা রানী এমন সব ক্ষমতা ভোগ করছেন যা বিশ্বের অন্য কোন রাষ্ট্রপ্রধান পান না। ব্রিটেনের সরকার নিয়োগ দেওয়ার দায়িত্ব ছিল রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের । কমনওয়েলথ ভুক্ত ১৬ টি দেশের প্রধান হিসেবে সেসব দেশের সরকারের উপর প্রভাব ছিল তার ।
ব্রিটেনের আদালতের বিচারকার্য রানীর নামে সম্পূর্ণ হয় । তাই রানীর নামে কোনো অভিযোগ আনা বা রানীকে সাক্ষী দিতে বলার কোনো আইন ছিলো না ব্রিটেনে । কোনো নতুন আইন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হবার পরেও আইনিভাবে শুরু করতে অনুমতি নিতে হত রানীর। ব্রিটেনে সকল গাড়ির লাইসেন্স প্রিন্ট হয় রানির নামে । কিন্তু সেই বৃটেনের রানী একমাত্র লোক ছিলো যার গাড়ির কোনো লাইসেন্স ছিলো না । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি ট্রাক ও চালিয়েছিলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
রানীর বিদেশ ভ্রমণের জন্য লাগত না কোনো পাসপোর্ট করা এবং কর দিবার । তবে ১৯৯২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় আয়কর দিয়ে এসেছেন তিনি । ইংল্যান্ডের সকল বুনো রাজহাঁসের মালিক ছিলেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ । তবে শুধু একটি নদীর রাজহাঁসের দেখাশুনা করতেন তিনি । এছাড়াও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ পোষা প্রাণী হিসেবে পালন করতেন একটি হাতি, দুটি কচ্ছপ, একটি জাগুয়ার, ত্রিশটি কুকুর এবং অনেকগুলো ঘোড়া এছারাও ২৩ টি জাহাজের মালিক ছিলেন এই রানী ।
ব্রিটেনের রানী তার হ্যান্ডব্যাগ ছাড়া কোথাও যেতেন না । এই ব্যাগ তিনি কিভাবে ধরে আছেন তা দিয়ে তার নিরাপত্তা কর্মীদের বিভিন্নভাবে তিনি তথ্য দিতেন । যেমন কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে টেবিলের উপর হ্যান্ড ব্যাগ রাখার অর্থ তিনি এই জায়গা ত্যাগ করতে চান অর্থাৎ তার গাড়ি বহর রেডি করার জন্য ইশারা দেন । ধন্যবাদ!